logo
ads

প্রেমের জটিলতা থেকে হত্যাকাণ্ড: জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদকে গলায় ছুরি মারেন বর্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশকাল: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০০ পি.এম
প্রেমের জটিলতা থেকে হত্যাকাণ্ড: জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদকে গলায় ছুরি মারেন বর্ষা

ছবি: সংগৃহীত

ত্রিভুজ প্রেমের জটিলতা থেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসাইন। প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে প্রেম, প্রতারণা ও পরিকল্পিত হত্যার রোমহর্ষক কাহিনি।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এস এন মো. নজরুল ইসলাম জানান, জুবায়েদকে হত্যার ঘটনায় তার টিউশনির ছাত্রী বার্জিস শবনম বর্ষা, বর্ষার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমান এবং মাহিরের বন্ধু ফারদিন আহমেদ আইলান জড়িত।

পুলিশ জানায়, পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নূর বক্স লেনে রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জুবায়েদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে হত্যার পেছনের মূল কাহিনি সামনে আসে।

পরিকল্পনার সূচনা

তদন্তে জানা যায়, বর্ষা প্রথমে মাহির রহমানের সঙ্গে প্রেমে জড়ালেও পরে জুবায়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। তবে মাহিরকে ভুলে যেতে পারেননি তিনি। মাহিরকে ফিরে পেতে জুবায়েদকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন বর্ষা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বর্ষা ও মাহির একসঙ্গে ২৩ দিন ধরে প্রস্তুতি নেন।

সরাসরি ছুরিকাঘাত করেন বর্ষা

পুলিশ জানায়, শুরুতে শুধু ভয় দেখানোর পরিকল্পনা থাকলেও বর্ষার চাপেই মাহির হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনার দিন বর্ষা নিজেই ছুরি দিয়ে জুবায়েদের গলায় আঘাত করেন। প্রাণভিক্ষা চেয়েও রেহাই পাননি জুবায়েদ। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, বর্ষা ছিলেন অমানবিক ও নির্মম।

নিহতের পরিবারের সন্দেহ

জুবায়েদের বড় ভাই জানান, বর্ষার সঙ্গে জুবায়েদের কোনো সম্পর্ক ছিল বলে তারা বিশ্বাস করেন না। পরিবার এ ঘটনায় হতবাক ও মর্মাহত।

জুবায়েদ কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

dainikamarbangla

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ