logo
ads

চীন-রাশিয়ার যৌথ নৌ মহড়া শুরু, ট্রাম্পের পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠানোর নির্দেশে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

যাপ্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশকাল: ৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৬ এ.এম
চীন-রাশিয়ার যৌথ নৌ মহড়া শুরু, ট্রাম্পের পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠানোর নির্দেশে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

ছবি: সংগৃহীত

জাপান সাগরে যৌথ সামরিক নৌ মহড়া শুরু করেছে চীন ও রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার জলসীমার কাছে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পরপরই এই মহড়ার ঘোষণা আসে।

স্থানীয় সময় রোববার (৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই মহড়ার লক্ষ্য, “দুই দেশের পারস্পরিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করা এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে ভারসাম্যপূর্ণ করা।”

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতাও দৃঢ় করেছে মস্কো ও বেইজিং। বিশেষ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর তাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

বেইজিং থেকে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক বন্দরের কাছে জলসীমায় ‘জয়েন্ট সি-২০২৫’ নামে শুরু হওয়া এই মহড়া আগামী তিন দিন ধরে চলবে।”

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, উভয় পক্ষ “সাবমেরিন উদ্ধার, যৌথ সাবমেরিন-বিধ্বংসী, বিমান প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী অভিযান এবং সামুদ্রিক যুদ্ধ পরিচালনা করবে।”

এই মহড়ায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছে চীনের গাইডেড-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী ‘শাওক্সিং’ এবং ‘উরুমকি’সহ চারটি নৌযান।

মহড়ার পর দুই দেশ প্রশান্ত মহাসাগরের প্রাসঙ্গিক জলসীমায় যৌথ টহল পরিচালনা করবে। ২০১২ সাল থেকে ‘জয়েন্ট সি’ নামের বার্ষিক মহড়া পরিচালনা করে আসছে চীন ও রাশিয়া। গত বছরের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল চীনের দক্ষিণ উপকূলে।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানায়, “এই বছরের মহড়ার লক্ষ্য ছিল দুই দেশের বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা।”

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউক্রেনের অনেক মিত্র রাষ্ট্র বিশ্বাস করে, চীন প্রকৃতপক্ষে রাশিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে। কারণ, চীন এখনো রাশিয়ার দীর্ঘদিনের ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা করেনি কিংবা সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়নি।

তবে, বেইজিং নিজেদেরকে নিরপেক্ষ পক্ষ হিসেবে দাবি করে আসছে এবং নিয়মিতভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে চীন অভিযোগ করছে, “পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে সংঘাত দীর্ঘায়িত করছে।”

সূত্র: বাসস, এএফপি

এই বিভাগের আরও খবর

dainikamarbangla

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ