আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪১১ জন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, "কেবল কুনার প্রদেশেই অন্তত ১ হাজার ৪১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ১২৪ জন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অন্তত ৫ হাজার ৪০০ বাড়ি।"
এর আগে আফগান রেড ক্রিসেন্ট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১২৪ জন বলে জানিয়েছিল। তবে চলমান উদ্ধারকাজের কারণে হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, বহু গ্রাম পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, ভেঙে পড়েছে হাজারো ঘরবাড়ি।
রিখটার স্কেলে ছয় মাত্রার এ ভূমিকম্পে এখনো নিখোঁজদের খোঁজ চলছে। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে সড়ক ভেঙে যাওয়া এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন থাকায় উদ্ধারকর্মীরা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়ক ইন্দ্রিকা রাটওয়াটে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, "ইতিমধ্যেই যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে তা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ব্যাপক ভূমিধস ও পাথর খসে পড়ায় দুর্গত এলাকায় প্রবেশ করা খুবই কঠিন হয়ে গেছে। সবার জন্যই প্রবেশাধিকার সীমিত হয়ে পড়েছে।"
গত রোববার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে আঘাত হানে এই শক্তিশালী ভূমিকম্প। কেন্দ্রস্থল ছিল জালালাবাদ শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং এর গভীরতা ছিল মাত্র আট কিলোমিটার। পরবর্তী আফটারশকগুলো মানুষের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তোলে।
ভূমিকম্পের আগে আকস্মিক বন্যায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অঞ্চলটি। নানগারহার ও কুনারে সেই বন্যায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৪০০ পরিবার।