রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৫ জনে।
ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই বিস্তৃত যে, খবরটি ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বহু সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়ে উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে: “কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ১৯”। চীনা সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন রয়টার্সের বরাতে একই শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে।
বিবিসি লিখেছে: “বাংলাদেশের স্কুলে বিমানবাহিনীর জেট বিধ্বস্তে অন্তত ১৯ জন নিহত”। তারা উল্লেখ করেছে, দুর্ঘটনায় ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক।
মার্কিন দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম দিয়েছে: “স্কুলে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বিমান, নিহত অন্তত ১৯”।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, “ঢাকার স্কুলে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জেট বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬”।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে: “ঢাকার মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ জেট বিধ্বস্তে নিহত ১৯, আহত শতাধিক”—রয়টার্সের তথ্য উল্লেখ করে এ খবর প্রকাশ করে তারা।
এছাড়াও দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গালফ নিউজ, সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইটস টাইমস, পাকিস্তানের দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ভারতের এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেকান হেরাল্ডসহ প্রায় সব প্রধান জাতীয় দৈনিকে এ ঘটনা গুরুত্বসহকারে প্রচারিত হয়েছে।