logo
ads

শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবিধি

যাপ্র সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশকাল: ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০৪ পি.এম
শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবিধি

ছবি: সংগৃহীত

শিশুদের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবিধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঠিকঠাক হতে পুষ্টিকর খাদ্য এবং সঠিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা আবশ্যক। এ কারণে, শিশুদের সঠিক পুষ্টি গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা তাদের সার্বিক উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

শিশুদের পুষ্টির গুরুত্ব:

শিশুরা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং তাদের শরীর ও মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়। সুষম পুষ্টি শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শক্তি জোগায় এবং তাদের শারীরিক ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশে সাহায্য করে।


শিশুর পুষ্টিতে যা থাকা উচিত:

  • প্রোটিন: মাংস, ডাল, দুধ, ডিম ইত্যাদি থেকে প্রোটিন পাওয়া যায় যা শরীর গঠনে সাহায্য করে।

  • কার্বোহাইড্রেট: চাল, রুটি, আলু ইত্যাদি শক্তির প্রধান উৎস।

  • ভিটামিন ও খনিজ: ফল, সবজি থেকে ভিটামিন ও খনিজ যেমন ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

  • চর্বি: মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে পরিমিত গ্রহণ জরুরি।

  • পর্যাপ্ত পানি: শরীরের সঠিক কার্যক্রমের জন্য পানি অপরিহার্য।

শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি:

১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:

  • নিয়মিত হাত ধোয়া, বিশেষ করে খাবার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর।

  • দাঁত ব্রাশ করা দিনে দুই বার।

  • শুয়ে থাকার বস্ত্র ও জামাকাপড় পরিষ্কার রাখা।

২. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা:

  • শিশুর জন্মের পর থেকে নির্ধারিত সময়ে টিকা দেয়া।

  • নিয়মিত শিশুর ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ করা।

৩. পর্যাপ্ত ঘুম:
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।

৪. শারীরিক ব্যায়াম ও খেলাধুলা:
শিশুর শরীর সুস্থ রাখতে খেলাধুলা ও ব্যায়াম করানো প্রয়োজন।

৫. সঠিক পরিবেশ:
পরিষ্কার ও সুস্থ পরিবেশে বড় হওয়া শিশুর জন্য ভালো। ধুলা-আবর্জনা ও দূষিত পরিবেশ থেকে শিশুদের দূরে রাখা।

৬. সন্তান যত্ন:
শিশুদের মনোযোগ দিয়ে দেখাশোনা করা, তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সময়মতো শনাক্ত করা।ঙ

শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক না থাকলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিঘ্ন ঘটে এবং বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর ঝুঁকি বাড়ে। তাই, পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে শিশুদের পুষ্টি ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং তাদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় যত্ন নিতে হবে। সুস্থ শিশুরাই সুস্থ সমাজ গঠন করে।

dainikamarbangla

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ