২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপিকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন "১৬ দশমিক ৩ শতাংশ" উত্তরদাতা। তবে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে এসে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে "১২ শতাংশে"। অন্যদিকে, একই সময়ের ব্যবধানে "এনসিপির সমর্থন ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছে"।
নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়লেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র প্রতি জনসমর্থন খানিকটা বেড়েছে।
আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আর্কাইভ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত 'ডিআইজিডি পালস সার্ভে'-র গবেষণাপত্র উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। এ আয়োজন যৌথভাবে করেছে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং ভয়েস ফর রিফর্ম।
"জনগণের মতামত, অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা জুলাই ২০২৫" শীর্ষক জরিপটি দেশের ৬৪টি জেলায় মোট ৫ হাজার ৪৮৯ জন নারী ও পুরুষের মধ্যে পরিচালিত হয় টেলিফোনের মাধ্যমে। তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ২০২৫ সালের ১ থেকে ২০ জুলাই সময়কালে। জরিপে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড, সংস্কার নিয়ে জনদৃষ্টিভঙ্গি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সমর্থনের বিষয়ে মতামত নেওয়া হয়।
ফলাফল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবরে "বিএনপিকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা", যা ২০২৫ সালের জুলাইয়ে কমে দাঁড়িয়েছে "১২ শতাংশে"। একই সময়ে "এনসিপির সমর্থন ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছে"।
অন্যদিকে, "আওয়ামী লীগের পক্ষে সমর্থন ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ", যা কমে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে দাঁড়িয়েছে "৭ দশমিক ৩ শতাংশে"।
ইসলামিক দলগুলোর ক্ষেত্রেও জনসমর্থনে হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে। জরিপ বলছে, "২০২৪ সালের অক্টোবরে অন্যান্য ইসলামিক দলের প্রতি সমর্থন ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ, যা চলতি বছরের জুলাইয়ে নেমে এসেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে"।
এছাড়া, এখনও অনেক নাগরিক নির্দিষ্ট কোনো দলকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। জরিপে দেখা গেছে, "২০২৪ সালের অক্টোবরে এই হার ছিল ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০২৫ সালের জুলাইয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশে"।
এছাড়া, "ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ১ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ", এবং "কাকে ভোট দেবেন তা জানাতে চাননি ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতা, যা গত অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ"।
