বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ ভালো পরিবর্তন চায়। গত বছর ৫ আগস্টের পর মানুষ হঠাৎ করে বুক ভরে শ্বাস নিতে পেরেছে। কিন্তু একদিনে সব ভালো হয়ে যাবে না, আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, শুরুটা করতে হবে।”
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীতে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর জাতীয় সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ৩ হাজার ১১৭ জন কাউন্সিলর ড্যাবের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে অংশ নেন।
চিকিৎসকদের অবদানের কথা তুলে ধরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, “ফরিদ সাহেব আছেন, একটি টিম গত আট বছর ধরে আমার মায়ের চিকিৎসা দিয়েছেন। সন্তান হিসেবে, পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা যা করতে পারিনি, ক্ষেত্রবিশেষে আপনারা আরও বেশি করেছেন। এ জন্য আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া গত এক যুগের বেশি সময় ধরে অসংখ্য নির্যাতিত মানুষকে চিকিৎসা দিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকেও কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্র অনুপস্থিত— এই সমালোচনাকে পুরোপুরি সত্য নয় বলে উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, “রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না— এমন মন্তব্য পুরোপুরি সঠিক নয়। আজকের ড্যাবের কাউন্সিল প্রমাণ করে, দলগুলোর ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না— এ কথা পুরোপুরি ঠিক নয়।”
তারেক রহমান জানান, আগামী দুই দিনে তিনি দুটি জেলার সাংগঠনিক সম্মেলনে অংশ নেবেন।
লন্ডনে বসবাসকালীন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনায় জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি। তার ভাষায়, “লন্ডনে রাষ্ট্রব্যবস্থায় জবাবদিহি আছে। এখানে চিকিৎসক নির্যাতনের শিকার হলে ন্যায়বিচার পান, আবার রোগী বা অন্য কেউ সেবা না পেলে তিনিও ন্যায়বিচার পান। বাংলাদেশে সেই জবাবদিহির ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।”
তিনি বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “দেশে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি যে ৩১ দফা দিয়েছে, সেটি নিয়ে রিফর্ম কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে। সরকার গঠন করতে পারলে ৩১ দফার বাস্তবায়ন হবে। দেশ গড়তে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনো দল বা সরকারের পক্ষে একা সেটা সম্ভব নয়।”
ড্যাব সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইসমাইল জবিউল্লাহ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
