logo
ads

রাশেদের প্রশ্ন: ঢাবির প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতারা কোথায়?

যাপ্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশকাল: ৯ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩৪ পি.এম
রাশেদের প্রশ্ন: ঢাবির প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতারা কোথায়?

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্র রাজনীতির উপস্থিতি নিয়ে আবারও তীব্র বিতর্ক ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। একদিকে হলে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অন্যদিকে ছাত্র রাজনীতির কাঠামোগত সংস্কারের দাবি তুলেছেন বিভিন্ন পক্ষ।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে ঢাবির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, “ঢাবিতে যারা ছাত্রলীগ করত, তারা এখন কোথায়? রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন এবং ছাত্র রাজনীতির কাঠামোগত সংস্কারের দাবি না করে যারা শুধু অশোভন স্লোগান দিচ্ছে, তারা কি আদৌ সাধারণ শিক্ষার্থী?”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমি নিজেও সাধারণ শিক্ষার্থী ছিলাম, তাদের আচরণ আমি ভালো বুঝি। এসব স্লোগান পরিকল্পিত উসকানি ছাড়া কিছু নয়। কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর মুখ থেকে এমন অশ্লীল কথা বের হওয়া সম্ভব নয়।”

এদিকে, কবি সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে হল থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্যসচিব উমামা ফাতেমা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর দেওয়া তার একটি লিখিত দরখাস্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

দরখাস্তে তিনি উল্লেখ করেন, “গত বছরের ১৭ জুলাই আমরা সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশাসন থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলাম যে, কবি সুফিয়া কামাল হলে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। তবে গত এক বছরে প্রশাসনের এই চুক্তি কার্যকর থাকলেও কিছু সংগঠন গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সাত সদস্যবিশিষ্ট হল কমিটি ঘোষণা করায় এটি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।”

তিনি আরও লিখেছেন, “আমরা মনে করি, এসব কর্মকাণ্ড সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।”

উমামা ফাতেমা তার আবেদনে চারটি রাজনৈতিক সংগঠনের নাম উল্লেখ করে তাদের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান। তবে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর ব্যাপারে কোনো মন্তব্য তিনি করেননি, যদিও তারাও হলে অবস্থান করছেন এবং তাদের কমিটিও সক্রিয় রয়েছে।

এর আগে উমামা এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সেটি দ্রুত স্থগিত করার আলটিমেটামও দেন।

ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জেরে শুক্রবার রাত থেকেই ঢাবির বিভিন্ন হলে বিক্ষোভ শুরু হয়। রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে বিক্ষোভ শুরু করেন, যা দ্রুত অন্য হলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এক পর্যায়ে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে ভিসি চত্বরে জড়ো হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এ বিষয়ে বলেন, “হল পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই প্রভোস্টের নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। একই সঙ্গে হল পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।”

এই বিভাগের আরও খবর

dainikamarbangla

বিশেষ সংবাদ