logo
ads

সহকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ: সেনা সদস্য আশার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর তদন্ত বোর্ড গঠন

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশকাল: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩৮ পি.এম
সহকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ: সেনা সদস্য আশার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর তদন্ত বোর্ড গঠন

অভিযুক্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামান আশা || ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামান আশার বিরুদ্ধে সহকর্মী মেজর মুরাদের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। গত ১৪ আগস্ট জনপ্রিয় প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়। সেখানে এক ভুক্তভোগী নারীকে সেনা সদস্য আশরাফুজ্জামান আশার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ করতে দেখা যায়। ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন, তার স্বামী মেজর মুরাদ জেলে থাকার সুবাদে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন সেনা সদস্য আশরাফুজ্জামান আশা। ধর্ষণের পর পরবর্তীতে স্বামী মেজর মুরাদের সাথে তার ডিভোর্স করিয়ে আশরাফুজ্জামান তাকে বিয়ে করেন। একপর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে যান। কিন্ত সেনা সদস্য আশা তাকে ভরণপোষণসহ সামাজিক মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে সেনা সদস্য আশা ভু্ক্তভোগী নারীকে ডিভোর্স দেন। এ নিয়ে ন্যায়বিচার চাওয়ার চেষ্টা করলে মেজর ফারিয়াসহ কিছু সেনা কর্মকর্তা ভুক্তভোগী নারীকে বাসায় এসে শাসিয়ে যান।

গুরুতর এ অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসার পর নড়ে-চড়ে বসে সেনাবাহিনী। অবশেষে সেনা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান আশার অপরাধ তদন্তে বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাহিনীটি। গত ১৫ আগস্ট (শুক্রবার) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। 

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করে সেনাবাহিনীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচারিত হয়েছে, যেখানে অভিযোগকারী একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার প্রাক্তন স্ত্রী। উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা পূর্বে একটি চাঞ্চল্যকর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন এবং বর্তমানে তিনি জেলে কারাদণ্ড ভোগ করছেন। উক্ত অভিযোগটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই এ সম্পর্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবগত হয় এবং যথাযথ গুরুত্বের সাথে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তবে অভিযোগকারী নারীর সামাজিক মর্যাদা ও ঘটনাটির সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে সেনাবাহিনী কর্তৃক যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করে সেনা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। ইতিপূর্বেই, অভিযুক্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিজ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে এবং ঘটনাটির প্রকৃত সত্য উদঘাটনে একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে উক্ত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনী থেকে কোন সদস্য বরখাস্ত হলে নিয়ম অনুযায়ী তার চিকিৎসা, সরকারি বাসস্থান বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে, উক্ত প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার সন্তানের এসএসসি পরীক্ষা বিবেচনা করে পরিবারটিকে সাময়িকভাবে সরকারি বাসস্থানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নৈতিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ ধরনের নীতিভ্রষ্ট ও নীতি-বিবর্জিত কার্যক্রমকে কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী তার সদস্যদের বিরুদ্ধে কৃত সকল অভিযোগ যথাযথ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে এবং অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’’

এই বিভাগের আরও খবর

dainikamarbangla

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ