পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি দেখতে রোববার (২১ জুলাই) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলের এই শীর্ষ নেতাকে গ্যালারিতে দেখে শুরু হয় নানা আলোচনা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক নির্বাহী সদস্য ফখরুলের উপস্থিতি দেখে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন ক্রিকেটভক্তরাও। উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যেও বিষয়টি আলোড়ন তোলে।
বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেট ইস্যু—সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা। ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশে ফিরে খেলার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রেই থেকে যান সাকিব। এর পর থেকে তিনি বাংলাদেশের জার্সিতে আর মাঠে নামেননি।
সম্প্রতি আবারও তাকে জাতীয় দলে ফেরানোর আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে অনেকের মতে, বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। কেউ কেউ বলছেন, যদি অন্তর্বর্তী সরকার চায় না, তবে তাকে অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচিত সরকারের জন্য।
এই প্রেক্ষাপটে এক সাংবাদিক জানতে চান—বিএনপি সরকারে এলে সাকিবকে নিয়ে তাদের অবস্থান কী হবে?
মির্জা ফখরুল সাফ জানান,
“সেটা (জাতীয় দলে ফেরা) সাকিবের ফর্মের ওপর নির্ভর করবে। তখন সে ক্রিকেটে থাকবে কি না, সেটার ওপর নির্ভর করবে। আমি কখনোই খেলাধুলার মধ্যে রাজনীতিকে আনতে চাইনি এবং বিশ্বাসও করি না। সুতরাং, যে যোগ্য, সে অবশ্যই দলে আসবে।”
উল্লেখযোগ্য, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের শাসনামলে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে গঠিত বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী সদস্য ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।