বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক সমিতি সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের পেশাজীবীদের জন্য একটি একীভূত বেতন কাঠামো প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে পে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনটির নেতারা এ প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
সমিতির প্রস্তাব অনুযায়ী, বর্তমান আর্থসামাজিক বাস্তবতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং প্রতিবেশী দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনায় বিদ্যমান ২০ গ্রেডের বেতন কাঠামো পুনর্গঠন করে সর্বনিম্ন মূল বেতন ৪০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল বেতন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮০ শতাংশ বাড়িভাতা প্রদানের দাবিও জানানো হয়।
সংগঠনটি শুধু সরকারি কর্মচারীদের নয়, বেসরকারি খাতের ভূতত্ত্ববিদসহ অন্যান্য পেশাজীবীদের জন্যও সমতুল্য বেতন কাঠামো নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস, কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি এবং নিয়মিত পে কমিশনের প্রয়োজনীয়তা কমাতে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবছর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেতন বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এতে দীর্ঘমেয়াদে একটি স্থিতিশীল ও টেকসই বেতন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন,
“আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর বেতন কাঠামো ও বর্তমান বাজারদর পর্যালোচনা করে সর্বনিম্ন মূল বেতন ৪০ হাজার টাকার প্রস্তাব দিয়েছি। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের কর্মীদের ক্ষেত্রেও সমমানের বেতন কাঠামো নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছি। আশা করছি, কমিশন বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।”