২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বছরের শুরু থেকেই প্রতি মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরে ডেঙ্গুর প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশেষ করে মে মাসের পর থেকে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে থাকে, যা পরবর্তী মাসগুলোতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত তিন মাসের তুলনায় শুধু অক্টোবরের প্রথম ২৫ দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মৃত্যু হয় ৪১ জনের। আগস্টে ভর্তি হন ১০ হাজার ৪৯৬ জন, মারা যান ৩৯ জন। সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৮৬৬ জনে, মৃত্যু হয় ৭৬ জনের। আর অক্টোবরের প্রথম ২৫ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫ জন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে ১ হাজার ১৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর দেরিতে বৃষ্টিপাত ও অনিশ্চিত আবহাওয়া এডিস মশার প্রজনন বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে বহুগুণে। রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ২০২৫ সালের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ২০১৯ সালের মতোই ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।