১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩০ এ.এম

ডাকসু নির্বাচনে এগিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা

ডাকসু নির্বাচনে এগিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে চমক দেখাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কার্জন হল, ভূতত্ত্ব কেন্দ্র ও অমর একুশে হলে শিবিরপন্থী প্রার্থীরা অন্যদের তুলনায় ব্যাপক ভোটে এগিয়ে আছেন। অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, বাকি কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগ স্থানেও তারা এগিয়ে রয়েছেন।

ফলাফল ঘোষণা শুরু

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি এবং হল সংসদের ১৩ পদে ভোট দেন শিক্ষার্থীরা।

কার্জন হল কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার কাজ শুরু হয়েছে। অমর একুশে হলে ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম পেয়েছেন ৬৪৪ ভোট। আবিদুল ইসলাম পেয়েছেন ১৪১, উমামা ফাতেমা ৯০, শামীম হোসেন ১১১, আবদুল কাদের ৩৬ এবং বিন ইয়ামিন মোল্লা ১ ভোট। একই হলে জিএস পদে ফরহাদ হোসেন পেয়েছেন ৪৬৬, মেঘ মল্লার বসু ৮৬, আবু বাকের মজুমদার ১৪৭ এবং তানভির বারী হামিম ১৮০ ভোট।

সুফিয়া কামাল হলেও শিবিরপন্থীদের আধিপত্য স্পষ্ট। সেখানে ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১২৭০ ভোট, আবিদ পেয়েছেন ৪২৩। জিএস পদে ফরহাদ ৯৬৪, মেঘ মল্লার বসু ৫০৭ এবং হামিম ৪০২ ভোট পেয়েছেন। এজিএস পদে মহিউদ্দিন পেয়েছেন ১১৩৫ ভোট, আর হামিম পেয়েছেন ৩৯৭।

ভোটকাস্টের হার কোথায় কত

ভোটগ্রহণ শেষে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিভিন্ন হলে ভোটকাস্টের হার ছিল—ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ৮০.২৪ শতাংশ, অমর একুশে হলে ৮৩.৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৮১.৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হলে ৮২.৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৮৪.৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৮৩ শতাংশ, রোকেয়া হলে ৬৫.৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৬৮.৩৯ শতাংশ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৬৭.০৮ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হলে ৮২.৫০ শতাংশ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৮৩.৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হলে ৮৫.০২ শতাংশ, সূর্যসেন হলে ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৫ শতাংশ, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৮৭ শতাংশ, কবি জসীম উদ্দীন হলে ৮৬ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৬৪ শতাংশ এবং শামসুন নাহার হলে ৬৩.৬৭ শতাংশ।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত এ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিক ফলাফলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের এগিয়ে থাকা নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।