২৭ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৪ পি.এম

প্রতিনিধি দল ও উপদেষ্টাদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, সংকট নিরসনে বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক

প্রতিনিধি দল ও উপদেষ্টাদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, সংকট নিরসনে বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার বৈঠক কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশীজন শিক্ষক এবং অন্যান্য প্রকৌশলীদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর রেলভবনে শুরু হয় এ বৈঠক, যা চলে প্রায় এক ঘণ্টা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৈঠক শেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, চলমান সমস্যা সমাধানে যে সাত সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজন সদস্য মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন না। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) পুরো কমিটি নিয়ে ফের বৈঠক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশীজন শিক্ষক এবং অন্য প্রকৌশলীদের সঙ্গেও বৈঠক হবে।”

ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, “কথায় কথায় যমুনা অভিমুখে যাত্রা অনভিপ্রেত। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ব্যাপারে পুলিশের প্রতিনিধি ক্ষমা চাইবেন।”

বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা জানান, সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে আন্দোলনরত সহপাঠীদের সঙ্গে পরামর্শের পর।

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবি:

১. প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে এসে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।

২. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি অবিলম্বে সংস্কার করতে হবে।

৩. অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি সংস্কার করে পেশকৃত তিন দফা দাবিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং এ মর্মে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা: মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে আজ এসে এর নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

৪. হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং আন্দোলন চলাকালীন সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো হামলা করা যাবে না।

৫. শিক্ষার্থী রোকনের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

৬. শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলার জন্য ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।

আগামীকালের বৈঠকে এসব দাবির বিষয়ে প্রশাসনের কী অবস্থান, তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।