২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১৮ এ.এম

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি ইসহাক দারের

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি ইসহাক দারের

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। সফরকালে তিনি একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছেন।

তিন দিনের সফরের প্রথম দিন শনিবার বিকেলে ঢাকার এক হোটেলে তিনি বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন। এসব বৈঠকের খবর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের এক্স হ্যান্ডেল থেকে জানায়।

পাকিস্তান হাইকমিশনে বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইসহাক দার। সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন। বৈঠক প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে লিখেছে, “পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্বার্থের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ইসহাক দার। বৈঠকে আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রসঙ্গ বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে আসে। এতে সার্ক প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি জানানো হয়। এছাড়া পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অতীতের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগের কথাও নেতারা আলোচনায় উল্লেখ করেন।”

পরে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জামায়াতের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে দেওয়া পৃথক বার্তায় জানায়, “বৈঠকে মূলত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক জোরদারের উপায় এবং এ অঞ্চলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় পাক উপ-প্রধানমন্ত্রী জামায়াত নেতাকর্মীদের দুর্দশা ও নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও তাদের সাহস ও দৃঢ়তার প্রশংসা করেন।”

বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইসহাক দার এনসিপির সাত সদস্যের একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে দলের সদস্যসচিব আখতার নেতৃত্ব দেন। বৈঠক শেষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে লিখেছে, “ইসহাক দার এনসিপির সংস্কার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।”

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরও বক্তব্য অনুযায়ী, “এনসিপি নেতারা বৈঠকে ২০২৪ সালে দেশব্যাপী রাজনৈতিক সংহতকরণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ানোর সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।”