৯ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩৭ এ.এম

হলে ছাত্রদলের কমিটি, মধ্যরাতে বিক্ষোভে উত্তাল ঢাবি

হলে ছাত্রদলের কমিটি, মধ্যরাতে বিক্ষোভে উত্তাল ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণাকে ঘিরে শুক্রবার রাত গভীরেই ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ। রাত ১২টার পর মাস্টারদা সূর্য সেন, মুহসীন ও রোকেয়া হলসহ একাধিক হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে হলভিত্তিক রাজনীতির বিরোধিতা করেন। তাঁদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়—‘হল পলিটিকসের ঠিকানা/এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘আবু সাঈদ, মুগ্ধ/শেষ হয়নি যুদ্ধ’।

রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন দু’দফায়। বিকেলে তাঁরা হল কর্তৃপক্ষকে সময় বেঁধে দিয়ে দাবি পেশ করেন। নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলে, তারা রাতের আঁধারেও হল প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন এবং প্রতিবাদ চালিয়ে যান।

হল প্রশাসনের কাছে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে তাঁরা চারটি সুস্পষ্ট দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো:

১. রোকেয়া হলকে প্রকাশ্য ও গুপ্ত—সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচিত হল সংসদ কমিটি ব্যতীত কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হলভিত্তিক কমিটি ঘোষণা করলে তাদের আবাসিক সিট বাতিল করতে হবে।

২. ছাত্রদল, বাগছাস, শিবির, ছাত্রী সংস্থা, ছাত্রলীগসহ (নিষিদ্ধ) অন্য সব ক্রিয়াশীল সংগঠন কোনো রকম গোপন কমিটি দিতে পারবে না। প্রমাণসাপেক্ষে তাদের সিট বাতিল করাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩. ১৭ জুলাইয়ের স্মারকলিপিতে স্মারক নম্বর বসিয়ে আইনি ভিত্তি রচনা করতে হবে।

৪. প্রভোস্ট, হাউস টিউটর, কর্মচারীসহ হল কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মেয়েদের সহযোগিতা করার প্রমাণ পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করবেন। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।

শুধু রোকেয়া হলেই নয়, একই দাবির প্রেক্ষিতে সুফিয়া কামাল হল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরাও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ছাত্রদল শুক্রবার সকালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের জন্য নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। এর পরপরই হলে হলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।