৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৩২ পি.এম

ভারতের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য আলোচনা করবে না যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড ট্রাম্প

ভারতের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য আলোচনা করবে না যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত জটিলতার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের বাণিজ্য আলোচনা এগোবে না।

বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই)-এর প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “না, যতক্ষণ পর্যন্ত এটার (শুল্ক) সমাধান না হয়, ততক্ষণ না।” এই মন্তব্যের খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল—ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করার পরও তিনি কি আলোচনায় ফিরে আসার আশা রাখছেন কিনা। এই প্রশ্নের জবাবেই ট্রাম্প তার অবস্থান স্পষ্ট করেন।

এর ঠিক আগের দিন, হোয়াইট হাউস থেকে জারি করা এক নির্বাহী আদেশে ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর ফলে, এখন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য প্রবেশে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে। ওয়াশিংটনের ব্যাখ্যায় বলা হয়, এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ। তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষই এর মূল কারণ।

নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন দাবি করে, ভারতের রাশিয়া থেকে সরাসরি কিংবা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে তেল আমদানি “যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অস্বাভাবিক ও অসাধারণ হুমকি”—এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

প্রথম দফায় আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। বাকি ২৫ শতাংশ কার্যকর হবে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে। তবে যেসব পণ্য এরই মধ্যে রপ্তানির পথে রয়েছে কিংবা যেগুলোর ওপর ছাড় প্রযোজ্য, সেগুলো আপাতত নতুন শুল্কের আওতায় পড়বে না।

এছাড়াও, নির্বাহী আদেশে প্রেসিডেন্টকে এই শুল্ক বাড়ানো, কমানো বা পুরোপুরি প্রত্যাহার করার সুযোগও রাখা হয়েছে—যদি ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা বা ভারতের জবাবি পদক্ষেপ সে রকম পরিস্থিতি তৈরি করে।

মার্কিন শুল্ক বাড়ানোর এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ভারত কোনো অবস্থাতেই চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে না। তার ভাষায়, “আমাদের কাছে, আমাদের কৃষকদের স্বার্থ সবার ওপরে। ভারত কখনোই তার কৃষক, মৎস্যজীবী ও দুগ্ধ খামারিদের স্বার্থের ব্যাপারে আপস করবে না। আমি জানি এর জন্য আমাদের চড়া মূল্য দিতে হবে, আমি তার জন্য প্রস্তুত।”