আজ ৫ই আগস্ট। স্বৈরাচার হাসিনার ভারত পলায়নের এক বছর পূর্তি। ২০২৪ সালের আজকের এই দিনে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তড়িঘড়ি করে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। আশ্রয় নেন ভারতে। সাথে নিয়ে যান বোন শেখ রেহানাকে। পদত্যাগের আগে হত্যা করে যান অন্তত ১৪০০ জন মানুষকে। তাও আবার মাত্র এক মাসে। তার দেশ ছেড়ে ভারত পলায়নের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের।
ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি হত্যা, গুম, খুন, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, সম্পদ পাচার, আয়নাঘর নির্মাণ, বিরোধীদলের নেতাকর্মী নিধন-নিপীড়ন, আলেম-ওলামাদের গ্রেফতার-নির্যাতন, ধর্মপালনে বাধা দেওয়াসহ দেশে ভয়ংকর মগের মুল্লুক কায়েম করেন। তার শাসনামলে বৈষম্য ও দুর্নীতি যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়। দেশের প্রায় সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণসহ ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যান। রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়াসহ দমন-পীড়ন করা ছিল হাসিনা সরকারের মূল অস্ত্র। তবে '২৪-এর গণবিপ্লবে মানুষ শৃঙ্খল ভেঙে জেগে ওঠে। হাজারো বিপ্লবীর রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
অবশেষে দেশের মানুষ মুক্তি পায়। ১৯৭১ সালের পর এ যেন নবস্বাধীনতা পাবার মতোই অনুভূতি!