৪ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৪৫ পি.এম

চট্টগ্রাম ক্লাবে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রাম ক্লাবে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজের একটি কক্ষ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি।

আজ সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে একটি মামলার শুনানির সময় তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় এবং তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ না হওয়ায় সংশ্লিষ্টরা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পরে গেস্ট হাউজের কর্মীরা পেছনের দরজা দিয়ে ৩০৮ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে সিএমএইচ থেকে একটি চিকিৎসক দল এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে।

৭৭ বছর বয়সী হারুন-অর-রশীদ ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং ডেসটিনি গ্রুপের শীর্ষ পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছিলেন। ডেসটিনি গ্রুপের একটি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে তিনি রোববার বিকেলে চট্টগ্রামে আসেন এবং ক্লাবের গেস্ট হাউজে ওঠেন।

১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত অবস্থায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং সাহসিকতার জন্য ‘বীর প্রতীক’ খেতাব অর্জন করেন।

২০০০ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত ওই দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ফিজিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

২০০৬ সালে হারুন-অর-রশীদ ডেসটিনি গ্রুপে যুক্ত হন এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ২০১২ সালে ডেসটিনির বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান।

২০২২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালত তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। সাবেক সেনাশাসক এইচ এম এরশাদের পর তিনিই প্রথম সাবেক সেনাপ্রধান, যিনি আদালতের রায়ে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান।