১ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৫৩ পি.এম

বিজ্ঞান: অজানার দরজা উন্মোচনের চাবিকাঠি

বিজ্ঞান: অজানার দরজা উন্মোচনের চাবিকাঠি

বিজ্ঞান মানুষের জ্ঞানের এক অবিরাম অভিযাত্রা, যার মাধ্যমে আমরা প্রকৃতির রহস্য উন্মোচন করি, জীবনের মান উন্নয়ন করি এবং ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাই। আদিম মানুষ যখন আগুনের ব্যবহার শেখে, তখন থেকেই শুরু এই বিজ্ঞানযাত্রা। কালের পরিক্রমায় হুইল, টেলিস্কোপ, বিদ্যুৎ, কম্পিউটার, ইন্টারনেট – প্রতিটি আবিষ্কারই আমাদের জীবনকে বদলে দিয়েছে। আজকের এই আধুনিক বিশ্ব প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের অবদানে এতটাই পরিবর্তিত হয়েছে যে আমরা মুহূর্তেই পৃথিবীর অন্য প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারি, ঘরে বসেই ডাক্তারি পরামর্শ নিতে পারি, এমনকি মহাকাশে বসবাসের পরিকল্পনাও করছি। তবে বিজ্ঞানের এই অগ্রগতির পেছনে রয়েছে কঠোর গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সত্যের অনুসন্ধান। বিজ্ঞান সবসময় পর্যবেক্ষণ, প্রমাণ ও যুক্তির ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে থাকে। তবে বিজ্ঞান শুধু প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য নয়, বরং মানবতা, নৈতিকতা এবং পরিবেশের সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। বিজ্ঞান যেন শুধুমাত্র মেশিন বানানোর মাধ্যম না হয়, বরং মানুষের উপকারে আসে—এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের উচিত বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হওয়া, প্রশ্ন করা এবং নতুন কিছু জানার চেষ্টা করা। কারণ আজকের একজন কৌতূহলী ছাত্রই হতে পারে আগামী দিনের একজন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী।

এদিকে কতিপয় নৈরাশ্যবাদী লোক বিজ্ঞান নিয়ে মিথ্যা দাবি করে যে, বিজ্ঞান আর ধর্ম নাকি সাংঘর্ষিক। অথচ বিজ্ঞান ও ধর্ম কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয়। বিজ্ঞান কেবল পর্যবেক্ষণযোগ্য বিষয়াবলী নিয়ে কাজ করে, এটা ফিজিক্যাল অবজেক্টের বাহিরে কোনো কিছু নিয়ে কাজ করে না, করতে পারে না। বিজ্ঞানের ঘরানা সীমাবদ্ধ। যেখানে বিজ্ঞান অক্ষম, সেখানে ধর্ম ও ফিলোসোফি দ্বারা উত্তর খোঁজা হয়। তাই বিজ্ঞান ও ধর্মের ক্ষেত্র ও ঘরানা নির্দিষ্ট ও আলাদা। এজন্য বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই। যারা বিজ্ঞান ও ধর্মের বিরোধের কথা বলে, তারা হয় অজ্ঞ, না-হয় মিথ্যুক।