৩০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫১ পি.এম

১৩৪ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন: মুন্নী সাহাকে দুদকের ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

১৩৪ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন: মুন্নী সাহাকে দুদকের ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একজন ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে এবার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে টানা তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় হাজির হন মুন্নী সাহা। এরপর দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, "সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে ডাকা হয়েছিল। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।"

চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুন্নী সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন তাপসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন এবং ব্যাংক হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এর আগে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, "মুন্নী সাহা ও তার স্বামী এমএস প্রমোশনের (বিজ্ঞাপনী সংস্থা) স্বত্বাধিকারী কবির হোসেন তাপসের বিরুদ্ধে নিজ ব্যাংক হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন, বর্তমান স্থিতি ১৪ কোটি টাকা ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।"

এরও আগে, গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নাঈম হাওলাদার (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হলে, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়। নিহতের বাবা মো. কামরুল ইসলাম গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সাতজন সাংবাদিককে আসামি করা হয়, যাদের একজন ছিলেন মুন্নী সাহা।

২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে মুন্নী সাহাকে কয়েকজন ব্যক্তি ঘিরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তবে প্যানিক অ্যাটাকে অসুস্থ থাকায় জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।