২৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৯ এ.এম

পরকীয়া প্রকাশ্যে আসায় কোল্ডপ্লের বিরুদ্ধে আইনি পথে বায়রন

পরকীয়া প্রকাশ্যে আসায় কোল্ডপ্লের বিরুদ্ধে আইনি পথে বায়রন

কোল্ডপ্লের কনসার্টই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাস্ট্রোনমারের সিইও অ্যান্ডি বায়রনের জন্য। স্ত্রীর অজান্তে প্রেমিকা এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবোর সঙ্গে ওই শোতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কনসার্ট চলাকালেই তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ধরা পড়ে ক্যামেরায় এবং সেই দৃশ্য উঠে আসে বড় স্ক্রিনে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই দৃশ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্যার মতো ছড়িয়ে পড়ে ট্রোল ও মিম। আর এতেই চরম বিব্রত বায়রন এখন কোল্ডপ্লের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন।

এই ঘটনার জেরে কাজের জায়গায়ও শুরু হয় বিপর্যয়। কয়েক দিনের মধ্যেই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন অ্যান্ডি বায়রন। পরে প্রেমিকা ক্রিস্টিন ক্যাবোও পদত্যাগ করেন। শুধু পেশাগত ক্ষেত্রেই নয়, এই ঘটনার প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত জীবনেও—সংসার ভাঙার মুখে বায়রন। সমর্থন পাচ্ছেন তার স্ত্রী; বিশ্বজুড়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তার পক্ষ নিয়েছেন।

ঘনিষ্ঠ মহলে বায়রনের আক্ষেপ স্পষ্ট: “ওরা আমাকে মিম ম্যাটেরিয়ালে পরিণত করেছে।”

তিনি কোল্ডপ্লে’র বিরুদ্ধে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। ঘনিষ্ঠ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, ভিডিও নিয়ে বায়রনের বিশেষ আপত্তি নেই, তবে অতিরিক্ত ট্রোল ও মিমের জন্য ব্যান্ডটিকেই দায়ী করছেন তিনি।

আইনি বিশেষজ্ঞ ক্যামরন দৌলতশাহী এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই প্রেক্ষিতে বায়রন কোল্ডপ্লের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে পারেন খুব বেশি হলে। কারণ ক্রিস মার্টিন ওদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের থাকার কথা বলেছেন। তবে এক্ষেত্রে মানহানির মামলা করার আগে বায়রনকে প্রমাণ করতে হবে যে, ক্রিস্টিন ক্যাবোর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক ছিল না।”

এদিকে এখনো পর্যন্ত কোল্ডপ্লে বা ক্রিস মার্টিন এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। তবে ‘শুটারস্কুপ’-এর সঞ্চালক রব শুটারের মতে, বায়রন-ক্রিস্টিনের সেই চুম্বনের মুহূর্ত প্রকাশ্যে আসায় মামলা হতে পারে শুনে, “ক্রিস মার্টিন হেসে গড়িয়ে পড়েছিলেন।”

অন্য এক আইনজীবী বলেন, “ক্যামেরা এবং ৭০,০০০ লোকের উপস্থিতিতে একটি পাবলিক কনসার্টে গিয়ে কেউ যদি গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে, সেক্ষেত্রে মামলাকারীর পাল্লা প্রায় শূন্য। মনে হবে যেন, তিনি ইচ্ছে করে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।”

​​