২৫ জুলাই ২০২৫, ০২:০২ পি.এম

দুদক চাইলে আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করুক: সজীব ওয়াজেদ জয়

দুদক চাইলে আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করুক: সজীব ওয়াজেদ জয়

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পালিয়ে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইটি উদ্যোক্তা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, “দুদক যদি আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চায়, তাহলে তাদের আমন্ত্রণ জানাই!” একইসঙ্গে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি “সম্পূর্ণ প্রস্তুত” বলেও জানান।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে জয় এসব মন্তব্য করেন।

তিনি লিখেছেন, “এই অবৈধ সরকার এখন চাপে এবং জনরোষের মুখে পড়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তোলার চেষ্টা করছে। আমি ভার্জিনিয়ায় দুটি বাড়ির মালিক নই—একটিই আমার, এবং সেটা আমি ২০১৮ সালে কিনেছি, গত বছর নয়। গত বছর আমার ডিভোর্স চূড়ান্ত হওয়ার পর মালিকানা শুধু আমার নামে করা হয়েছে।”

সম্পত্তি সংক্রান্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অন্য যে বাড়ির কথা বলা হচ্ছে, সেটিই ছিল আমার আগের বাড়ি—যেটা আমি বিক্রি করে এই বাড়িটি কিনেছি। আমার বাড়িটির মূল্য কেনার পর থেকে প্রায় ১৫ লাখ ডলার বা ১৮ কোটি টাকা বেড়েছে। আমি বর্তমান দামে এটি কিনিনি, অনেক কম দামে কিনেছিলাম। আমি কোনো সরকারি কর্মচারী নই। আমি একজন আইটি উদ্যোক্তা। আমার আয় সম্পূর্ণ বৈধ, আমি এখানে করও দিয়ে বসবাস করি।”

ফেসবুক পোস্টে জয় আরও দাবি করেন, “এফবিআই আমার বিষয়ে এরই মধ্যে তদন্ত করেছে এবং অবৈধ কিছুই খুঁজে পায়নি। সেই কারণেই ইউনুসের সরকার যখন আমার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করেছিল, তখন আমি দ্রুত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে সত্যিকারের আইন ও বিচারব্যবস্থা আছে। দুদক যদি আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চায়, তাহলে তাদের আমন্ত্রণ জানাই—এসে পারলে চেষ্টা করে দেখুক! আমার আইনজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রে দুদকের মোমেনের বিরুদ্ধে মামলা করতে তৈরি হয়ে আছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই অভিযোগের মূল উদ্দেশ্য হলো আমার ঠিকানা প্রকাশ করে আমাকে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ফেলা। কিন্তু আমেরিকার বাস্তবতা হলো—এখানে ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র রাখা বৈধ এবং এর গুলিরও কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তাই এসব হুমকিতে আমি ভীত নই। আমি নিজেকে রক্ষা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সক্ষম। আর একটা কথা, আমার বাড়ি নম্বর কিন্তু ৩২ নয়।”