২৫ জুলাই ২০২৫, ০১:০০ পি.এম

মারা গেলেন কিংবদন্তি রেসলিং তারকা হাল্ক হোগান

মারা গেলেন কিংবদন্তি রেসলিং তারকা হাল্ক হোগান

পেশাদার রেসলিং দুনিয়ার সবচেয়ে বড় নামগুলোর একটি, হাল্ক হোগান আর নেই। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। খবরটি নিশ্চিত করেছে ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (WWE)।

তার প্রকৃত নাম ছিল টেরি বোলিয়া। তবে 'হাল্ক হোগান' নামেই তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান। বৃহস্পতিবার হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে তার পরিবার জরুরি পরিষেবায় (৯১১) ফোন করে সাহায্য চান। কিন্তু চিকিৎসা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

গত মাস থেকেই অসুস্থ ছিলেন হোগান। কয়েকবার অস্ত্রোপচারও হয় তার। এ সময় গুজব ছড়ায় তিনি কোমায় আছেন, যদিও তার স্ত্রী এই খবর অস্বীকার করেন। অবশেষে তার মৃত্যুর খবরই সত্যি হলো।

হাল্ক হোগান ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে পেশাদার কুস্তির সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকা ছিলেন। ডব্লিউডব্লিউই-কে (WWE) বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তোলার পেছনে তার অবদান ছিল অসাধারণ। চওড়া গোঁফ, পেশিবহুল শরীর এবং অনন্য বাচনভঙ্গির কারণে তিনি ছিলেন অগণিত ভক্তদের নয়নের মণি।

প্রথম নয়টি রেসলম্যানিয়ায় আটবারই তিনি প্রধান আকর্ষণ ছিলেন। ছয়বার জিতেছেন WWE চ্যাম্পিয়নশিপ। শুধু রেসলিং নয়, অভিনয়ের দুনিয়াতেও পদার্পণ করেন তিনি। তখন থেকেই নিজেকে ‘হলিউড হাল্ক হোগান’ নামে পরিচয় দিতে শুরু করেন।

১৯৯৬ সালে WWE ছেড়ে তিনি 'নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার' (nWo) নামে নতুন রেসলিং গ্রুপ তৈরি করেন, যা WWE-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে। তবুও, ২০০৫ সালে তাকে WWE ‘হল অফ ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

তবে ২০১৫ সালে একটি ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনায় WWE তার হল অফ ফেমের স্বীকৃতি বাতিল করে। হোগান সেই ভিডিও ফাঁসকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং জয়লাভ করেন, যার ফলে সেই সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যায়। পরে ২০২০ সালে পুনরায় তাকে ‘হল অফ ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত করে WWE।

তার ক্যারিয়ার যেমন সাফল্যে ভরা, তেমনি বিতর্কও তাকে ছাড়েনি। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য সমর্থক এবং তার নির্বাচনী প্রচারণায়ও অংশ নিয়েছেন।