স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা জানান বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ঘোষণায় মাখোঁ উল্লেখ করেন,
‘তিনি মনে করেন যে ফ্রান্সের এ সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে সহায়ক হবে।’
একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে পাঠানো একটি চিঠিও যুক্ত করেন তার বার্তায়।
ওই চিঠিতে মাখোঁ প্রথম বৃহৎ কোনো পশ্চিমা রাষ্ট্র হিসেবে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো, যখন ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চাপ দিন দিন বাড়ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকেই গাজা উপত্যকায় টানা সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির বিমান ও স্থল হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল ও উপাসনালয়। এক সময়ের জনবহুল গাজা এখন রূপ নিয়েছে এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে।
অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকট চরমে পৌঁছেছে। ন্যূনতম ত্রাণ সহায়তাও গাজার অনেক অঞ্চলে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেছে কমপক্ষে ১১৫ জন।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির দাবিতে চাপ বাড়ছে ইসরায়েলের ওপর। তবে এখন পর্যন্ত গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি।