২৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৫২ পি.এম

গাজায় খাদ্য সংকট: মারা যাচ্ছে বেসামরিক মানুষ

গাজায় খাদ্য সংকট: মারা যাচ্ছে বেসামরিক মানুষ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ক্রমেই চরম আকার ধারণ করছে খাদ্য সংকট। ইসরায়েলের বর্বর অবরোধের কারণে সৃষ্ট এই পরিস্থিতিতে নতুন করে অনাহারে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১০ জন ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর অপুষ্টিজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১ জনে, যার অধিকাংশই মৃত্যুবরণ করেছে গত কয়েক সপ্তাহে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যেসব শিশু মারা গেছে, তাদের মধ্যে ২১ জনের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। সংস্থাটি আরও জানায়, মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রায় ৮০ দিন তারা গাজায় কোনো খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করতে পারেনি। বর্তমানে কিছু খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা শুরু হলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

এক যৌথ বিবৃতিতে মার্সি কর্পস, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল এবং রিফিউজিস ইন্টারন্যাশনালসহ ১১১টি আন্তর্জাতিক সংগঠন বলেছে, “গাজায় এখন গণ-অনাহারের পরিস্থিতি চলছে”। অথচ সীমান্তের বাইরে বিপুল পরিমাণ খাদ্য, পানি ও ওষুধ মজুত থাকলেও সেগুলো সহায়তাকারী সংস্থাগুলো প্রবেশ করাতে পারছে না।

চলতি বছরের মার্চে ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের পণ্য প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। এরপর মে মাস থেকে অল্প পরিমাণে সহায়তা প্রবেশ করতে শুরু করে, যা বিতরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল গাজায় প্রবেশ ও প্রস্থানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখে সহায়তার প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে। মে মাস থেকে এ পর্যন্ত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনে ত্রাণ নিতে আসা ১,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও অন্তত ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৪ জন মানবিক সহায়তা নিতে যাওয়া ব্যক্তি রয়েছেন।