মাঝেমধ্যেই বিমান দুর্ঘটনার মর্মান্তিক খবরে আমরা শোকাহত হই। কখনো অপ্রত্যাশিতভাবেই ঘটে এই বিমান দুর্ঘটনা; আবার কখনো বিপজ্জনক বিমানবন্দরের কারণে বিমান দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। এমনই বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ১০ টি বিমানবন্দরের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে অবতরণ বা উড্ডয়ন বিশেষ দক্ষতা ও সাহসের দাবি রাখে। একটু অসতর্কতাই ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
বিপজ্জনক সেই বিমানবন্দরগুলো হলো:
পাহাড়ঘেরা, খাটো ও ঢালু রানওয়ে।
এভারেস্টে যাওয়ার প্রধান প্রবেশদ্বার।
মাত্র কয়েকজন অনুমোদিত পাইলট এখানে অবতরণ করতে পারেন।
রানওয়ে পাহাড়ে ঘেরা, ৭,৩০০ ফুট উচ্চতায়।
খাড়া পাহাড় ও তীক্ষ্ণ বাঁকের মধ্যে অবতরণ।
রানওয়ে ছোট ও উঁচু স্থানে অবস্থিত।
বিমান সৈকতের খুব নিচ দিয়ে উড়ে যায়।
পর্যটকদের কাছে বিখ্যাত কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ।
ঢালু ও বরফে আচ্ছাদিত রানওয়ে।
আল্পস পর্বতশ্রেণিতে অবস্থিত।
বরফের উপর তৈরি রানওয়ে।
রানওয়ে বরফে গলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
রানওয়ে পাহাড়ের মাঝে এবং সমুদ্রের ধারে।
অবতরণে তীক্ষ্ণ ঢাল বেয়ে নামতে হয়।
পাহাড় ও সমুদ্রের মাঝে অবস্থিত।
রানওয়ে সমুদ্রের উপর খুঁটির সাহায্যে নির্মিত।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট বাণিজ্যিক রানওয়ে (মাত্র ৪০০ মিটার)।
উভয় পাশে খাড়া পাহাড় ও সাগর।
শহরের মধ্য দিয়ে তীক্ষ্ণ বাঁকে অবতরণ করতে হতো।
বর্তমানে এটি বন্ধ হলেও এটি ইতিহাসের অন্যতম ভয়ানক বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত।
এই বিমানবন্দরগুলোতে অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন শুধু প্রযুক্তি নয়, বরং পাইলটের দক্ষতা, আবহাওয়ার সহায়তা এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রেই এই বিমানবন্দরগুলো একটি গন্তব্যে পৌঁছানোর একমাত্র উপায়, তাই বিপদ সত্ত্বেও এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।